ফিলিস্তিনের গাজায় একটি আবাসিক ভবনে ভয়াবহ হামলা চালিয়ে অন্তত ৩৬ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। শনিবার (১৬ মার্চ) আল-জাজিরা ও টিআরটি’র প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী একটি বাড়িতে বোমা হামলা চালিয়ে ৩৬ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে, যাদের বেশিরভাগই শিশু এবং গর্ভবতী মহিলা ছিলেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, বোমা হামলায় একটি পরিবারের বাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। হামলায় এক হাজার ২০০-এর বেশি মানুষ নিহত হন। জিম্মি করে নিয়ে যায় আরও ২৪২ জনকে। ওই দিন থেকে পাল্টা আক্রমণে তীব্র আক্রোশে গাজার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ইসরাইলি বাহিনী। গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার দেশটি।
ইসরাইলি এ হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরাইলি হামলায় পুরো গাজা ভূখণ্ড প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছেন প্রায় সাড়ে ৩১ হাজার ফিলিস্তিনি। আর আহত ৭৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ঘরবাড়ি হারিয়ে গাজার বাসিন্দারা প্রায় সবাই উদ্বাস্তু হয়ে গেছে।
কঠোর অবরোধ ও অবিরাম হামলার মধ্যে থাকা গাজাবাসীরা অনাহারে ভুগতে ভুগতে দুর্ভিক্ষের প্রান্তে চলে গেছে। ইতোমধ্যে অপুষ্টি ও পানিশূন্যতায় শিশুসহ অনেকের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষুধায় বেপরোয়া হয়ে ওঠা লোকজন ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে। ত্রাণবাহী ট্রাক দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়ছে, ত্রাণের জন্য হুড়োহুড়ি করছে।
অন্যদিকে হামাসের দেওয়া নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে দখলদার ইসরায়েল। শুক্রবার (১৫ মিার্চ) যুদ্ধবিরতির ওই প্রস্তাব নিয়ে যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠক শেষে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, হামাসের নতুন প্রস্তাব এখনো অনেক অযৌক্তিক দাবি রয়েছে। তবে যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে ইসরায়েলি প্রতিনিধিদের কাতারে পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।